গোলাম ফাহিমুল্লাহ, হাবিপ্রবি।। দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(হাবিপ্রবি) এর ফিশারিজ অনুষদের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করে।
১২ই জুন (সোমবার) বেলা ১:৩০ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিসম্প্রতি মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২৩ নামে সে খসড়া বিধিমালা আরোপ করা হয় তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে ফিশারিজ অনুষদের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২০(১) বিধিতে বলা হয়েছে- কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ মৎস্য চাষে ব্যবহৃত ক্ষতিকর নহে এইরূপরাসায়নিক পদার্থের তালিকা এবং রোগাক্রান্ত মৎস্যের চিকিৎসার্থে ব্যবহৃত হইতে পারে পরিচালক, কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের সহযোগিতায় প্রস্তুতকৃত এইরূপঔষধের তালিকা পৃথকভাবে সরকারের অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করিবেন এবং ২০(৪) বিধিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা মৎস্যের রোগ নিরাময়ে যে ঔষধ যে ভাবে ব্যবস্থাপত্রে নির্দেশনা প্রদান করিবেন সেই ভাবে প্রয়োগ করা যাইবে এবং খামার মালিক এইরুপ ব্যবস্থাপত্র মৎস্য আহরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণ করিবেন।
শিক্ষার্থীরা আরোও জানান, মাছের রোগ নিরাময়ে নির্দেশনা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করার জন্য Aquatic Animal Health এর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশুনা করা প্রয়োজন যা সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটরা পড়ে থাকে। এছাড়া, World Organization for Animal Health – Aquatic Animal Health Code এর ৬.২.৭ ধারায় স্পষ্টত Aquatic Animal Health Professionals -রা ব্যবস্থাপত্র দিতে পারবে মর্মে বলা আছে। কিন্তু খসড়া বিধিমালায় তা সুক্ষভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু নতুন এই বিধিমালায় তাদের প্রতি যে বৈষম্য করা হয়েছে। ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের কল্যাণে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টর যখন অভাবনীয় সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে তখন এই সেক্টরের উন্নয়ন যাত্রা ও বর্তমান সরকারের সাফল্যকে ব্যাহত করার একটা অসাধু মহল মনগড়া বিধিমালার তৈরিতে ইন্ধন দিচ্ছে যা স্পষ্টত ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের বঞ্চনা ও অবমাননার সামিল।
এসময় শিক্ষার্থীরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এই নীতিমালায় যেন খুব দ্রুত সময়ের মাঝে পরিবর্তন আনা হয় সেই দাবি জানান। এই ভিত্তিহীন নীতিহীন বিধিমালা যদি দ্রুত সময়ের ভিতরে সংশোধন করা না হয় তাহলে হাবিপ্রবি সহ সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিদ একত্রিত হয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করার হুশিয়ারি দেন। ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ রহমতুল্লাহ’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের মাঝে বক্তব্য রাখেন রাব্বি শেখ (১৬ ব্যাচ),মোঃ জুয়েল রানা (১৬ ব্যাচ),নাজমুল শাকিল (১৮ ব্যাচ), আব্দুল জলিল (১৮ ব্যাচ), জিয়াউর রহমান জিয়া (১৮ ব্যাচ),মিশুক (১৮ ব্যাচ),সাগর (১৮ ব্যাচ),মোঃ ইব্রাহিম হোসেন (১৯ ব্যাচ),হাসনাত সানি (২০ ব্যাচ),শঙ্কর (২১ ব্যাচ),মাহবুব (২১ ব্যাচ),মারুফ (২২ ব্যাচ) প্রমুখ।