দিনাজপুর প্রতিনিধি: হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সুগন্ধি চাল ভিত্তিক ভ্যালু চেইন উন্নয়ন ও বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদ হলরুমে দিনব্যাপী ভ্যালু চেইন প্রমোশনাল বিজনেস প্ল্যানিং কনসালটেশন- ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চিরিরবন্দর ও আশেপাশের এলাকার কৃষক, প্রক্রিয়াজাতকারক, মিলার, বাজার মধ্যস্থতাকারী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ব্যাংক কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ প্রায় ১১০ জন অংশীজন অংশগ্রহণ করেন।
এতে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার জোহরা সুলতানা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেহা তুজ জোহরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিউট এর উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহম্মদ শামসুল হুদা, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ হামিদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ রেজাউল করিম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন হাবিপ্রবি উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক মবিনুল ইসলাম, আহসান হাবিব, গম ও ভূট্টা গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইমরান সাকিব, স্থানীয় ধান মিল মালিক সমিতির প্রতিনিধি, সফল কৃষক ও নারী উদ্যোক্তারা।
হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের ভ্যালু চেইন প্রমোশনাল অফিসার মোঃ আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে ব্যবসা পরিকল্পনা, ব্যবসা পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা, ব্যবসা পরিকল্পনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়নের সম্ভাব্যতা যাচাই, উচ্চমূল্য ফসলের বাজারমূখী উৎপাদন পরিকল্পনা, অংশীজন সংগঠন গঠন এবং পার্টনার ওয়ান স্টপ সেন্টারের কার্যাবলী সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেন হর্টেক্সের পোস্ট হার্ভেস্ট স্পেশালিষ্ট এন্ড ফিল্ড অর্গানাইজার মোঃ মামুন হোসেন।
সভায় বক্তারা সুগন্ধি ধানের উৎপাদন, সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা (PHM), গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ (GHM), প্যাকেজিং, ব্র্যান্ডিং, বাজার সংযোগ বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা একটি টেকসই এবং বাজারমুখী ভ্যালু চেইন গড়ে তুলতে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সভার আলোচনার ভিত্তিতে একটি প্রাথমিক কার্যপরিকল্পনা (Action Plan) গৃহীত হয়, যেখানে বেসরকারি বিনিয়োগ, সরকারি সহায়তা এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, এ ধরনের কনসালটেশন সভা স্থানীয় কৃষির রূপান্তর এবং ভ্যালু সংযোজিত কৃষিপণ্য উৎপাদনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। আমার বিশ্বাস, একটি শক্তিশালী ভ্যালু চেইন গঠণ করা গেলে এই অঞ্চলের সুগন্ধি ধান এবং চালকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষম করে তোলা সম্ভব হবে এবং কৃষকেরাও তাদের ন্যায্যমূল্য পাবেন।