কৃষিডেস্ক: সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও নাটোরের গুরুদাসপুরে এখন পর্যন্ত চলতি আমন মৌসুমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি। খোলাবাজারে দাম বেশি থাকায় কৃষক ও মিলাররা সরকারি গুদামে ধান চাল বিক্রিতে আগ্রহী নন।
চলতি বছর ১২ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। এ উপজেলায় কোনো কৃষক ও মিলার গুদামে ধান চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ হননি।এ কারণে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি খাদ্যগুদামে প্রতিকেজি ধান ২৮ টাকা দরে ৩৬৭ মেট্রিকটন ও ৪২ টাকা দরে ১২৬২ মেট্রিকটন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জানা যায়, ১০৯ জন মিল মালিকের মধ্যে ৪৪ জন মিল মালিক চুক্তিবদ্ধ হলেও বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় কমমূল্যে তারা গুদামে চাল সরবরাহ করছেন না।
উপজেলার ঝাউপাড়া গ্রামের কৃষক আফসার আলীসহ অনেক কৃষক জানান, সরকারি রেটের চেয়ে খোলাবাজারে ধানের দাম বেশি। এছাড়া গুদামে ধান দিলে ব্যাংক থেকে টাকা নিতে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। গুদামের লোকজনকেও খুশি করতে হয়।
উপজেলা অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, লোকসান দিয়ে কেউ সরকারি গুদামে চাল দিতে রাজি হচ্ছেন না। বাজার দর কেজিতে ৫০ টাকা, সরকারি দর ৪২ টাকা। আবার শতকরা দুই ভাগ আয়কর দিতে হয়। এসব ঝামেলার কারণে কৃষক ও মিলাররা গুদামে চাল দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন।