নয়াকৃষি ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন ।
শুক্রবার (১৭ই মার্চ) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রদত্ত ওই বাণীতে বলা হয়, ১৭ মার্চ বাঙালির জীবনে অনন্যভাবে উজ্জ্বল একটি তাৎপর্যমন্ডিত দিন। আজ বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন। বাঙালি জাতির গৌরব ও গর্বের মানস নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের আজকের এদিনে জন্মগ্রহণ করেন। সমগ্র জাতির সাথে আমি আজ তাঁর অম্লান স্মৃতির প্রতি জ্ঞাপন করছি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা এবং একই সাথে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।
বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মানবদরদী ও অধিকার আদায়ে আপোষহীন। স্কুল জীবন থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত হয়। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তপ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮’র সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান, ৭০’র নির্বাচনসহ ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ের প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীকার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তিনি। এজন্য তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। তবুও বাঙালির অধিকার প্রশ্নে তিনি কখনো শাসকগোষ্ঠীর সাথে আপোস করেননি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষনটি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের সাফল্য ওগৌরবানিত্ব অধ্যায়-মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার নেপথ্যে ছিল ৭ই মার্চের ভাষণ, একটি প্রাণ, একটি শক্তি, একটি অভূত্থান, একটি আন্দোলন ও একটি বিপ্লব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয় সমগ্র জাতি, তাঁর সম্মোহনী আহ্বানে সংঘটিত হয় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। নব ইতিহাস স্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমান এভাবেই হয়ে ওঠেন জাতির পিতা। বাঙালি জাতির কাছে তিনি পিতা, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। সোনার মানুষ আকাশ থেকে পড়বে না, মাটি থেকেও গজাবে না। এই বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্য থেকে তাঁদেরকে সৃষ্টি করতে হবে। নবতর চিন্তা চেতনা ও মূল্যবোধের প্রকৌশলী, দেশের সুধী সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাব্রতী, বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিসেবী। আমি আজকের এই সাহিত্য সম্মেলনে আপনাদেরকে সোনার মানুষ সৃষ্টির কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।” আমাদের পরম সৌভাগ্য এই যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে এখন প্রয়োজন সোনার মানুষ তৈরি করা।
আজ দেশব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উদযাপিত হচ্ছে। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানাচ্ছি।