নয়াকৃষি: পেয়ারা চাষ করে এখন স্বাবলম্বী শরীয়তপুর জেলা পৌরসভার স্বর্ণঘোষ এলাকার বাসিন্দা মোঃ আওলাদ হোসেন । তিনি এসডিএস’র পুস্পিতা সমিতির সদস্য। এসডিএস এর সমম্বিত কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় তিনি বাড়ি সংলগ্ন প্রায় ২০ শতক জমিতে বারি-৪ জাতের পেয়ারা চাষ শুরু করেন।
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি জমিতে প্রায় ২০০ টি বারি পেয়ারার চারা রোপন করেন। সমম্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষি কর্মকর্তার সঠিক যত্নে তার পেয়ার গাছে ৪ মাস পর হতে ফুল ও ফল আসতে শুরু করে। ফলের পোকামাকড় হতে রক্ষা করার লক্ষ্যে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি অনুসরণ করায় পেয়ারা ফলে পোকামাকড় কম হয় এবং ফলের আকার ও আকৃতি বড় হয়। তার স্ত্রী মিতু আক্তার বলেন, আমাদের গাছের পেয়ার আকৃতি বড় হওয়ায় এবং মিষ্টতা বেশি থাকায় আমাদের পেয়ারার চাহিদা অনেক বেশি। পেয়ারার বাগান হতে আমাদের পেয়ারা বিক্রি হয়ে যায়।
পেয়ারা চাষি আওলাদ হোসেন বলেন, আমার বাগান হতে প্রতি কেজি পেয়ারা ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এ পর্যন্ত আমার প্রায় ১২-১৩ মন পেয়ার বিক্রি হয়। এ পর্যন্ত আমি প্রায় ২০ হাজার টাকার পেয়ার বিক্রি করেছি। চারা ক্রয় থেকে এ পর্যন্ত আমার প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। আমি পেয়ার চাষের জন্য এসডিএস হতে ৭০ হাজার টাকা টাকা ঋণ নিয়েছি। গাছে যে পেয়ারগুলো আছে সেগুলো বিক্রি হলে আরও প্রায় ১ লক্ষ টাকা পাবো। আমার দেখে আরও অনেকে পেয়ারা চাষের জন্য আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসে। আগামীতে পেয়ারার বাগান আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা আছে আমার।
এসডিএস’র সমন্বিত কৃষি ইউনিটের ফোকাল পারসন কৃষিবিদ খাজি আলম জানান, জমি বন্ধক নিয়ে আমাদের পরামর্শে আওলাদ হোসেন বারি পেয়ারা-৪ চাষের পরামর্শ দেয়া হয়। তিনি আমাদের পরামর্শ মতো বছর খানেক আগে বানিজ্যকভাবে পেয়ারার চাষ করেন। অল্প কদিনেই তার পেয়ারার বাগান ফুলে ফলে ভরপুর হয়েছে। ফল গুলোকে ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়েছে। এতে পচে যাওয়া বা পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হচ্ছে তার। ফ্রুট ব্যাগিং এবং মিষ্টতার কারনে বাজারে তার এ পেয়ারার বেশ চাহিদা রয়েছে।