এম আব্দুল মান্নান: আরমা এগ্রিকালচার লিমিটেড এর আয়োজনে নিরাপদ মাংস উৎপাদন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে ঢাকার আশুলিয়াস্থ আরমা এগ্রো ফার্মে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এম আফজাল হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ও সোনিয়া গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েতউদ্দিন মোঃ কায়সার খান। নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর সিনিয়র কনসালটেন্ট জনাব মোঃ আইয়ুব হোসেন খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম আফজাল হোসেন বলেন, নিরাপদ মাংস বা খাদ্য উৎপাদন করতে হলে খামারিদেরকে নীতি-নৈতিকতা বজায় রাখতে হবে। সেই সাথে সরকারি যারা কর্মকর্তা আছেন তাদের মনিটরিং আরো বেশি বাড়াতে হবে। অনেকেই আছে অধিক লাভের আশায় অনানুমোদিত এবং অপ্রয়োজনীয় ওষুধ/এন্টিবায়োটিক ও খাবার খাওয়ায় গরু মোটা তাজাকরণ করে। এক্ষেত্রে উক্ত পশু/মাংস বাজারে আসলে সাধারণ মানুষের বুঝার উপায় থাকে না আসলে এটি মানব শরীরের জন্য নিরাপদ নাকি অনিরাপদ। তাই নীতি নৈতিকতার জায়গায় আরও বেশি স্বচ্ছতা নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সরকারকে প্রয়োজনে আরও ভর্তুকি দিয়ে নিরাপদ মাংস/মাছ/খাদ্যপন্য উৎপাদনে উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, নিরাপদ মাংস/খাদ্য উৎপাদন করতে হলে উৎপাদন থেকে খাদ্য গ্রহণ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে হাইজিন মেইনটেইন করতে হবে। তা নাহলে অন্যকিছুর সাথে কন্টামিনেশন হয়েও সেই খাবার অনিরাপদ হতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে আরমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়, মানুষ যাতে নিরাপদ ও নির্ভেজাল মাংস/খাদ্য পায় সে লক্ষ্যে আরমা এগ্রিকালচার লিমিটেড কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা জানেন, আজকাল সততা নিয়ে ব্যবসা করলে লাভের আশা করা কঠিন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে লস করেই ব্যবসা করতে হয়। আমার বাবা কৃষিবিদ ছিলেন সেই ভালোবাসা আর ভালোলাগা থেকে লস হলেও কৃষি কাজের সাথে গত ২০ বছর ধরে যুক্ত আছি। তবে, এখন যেভাবে সাড়া পাচ্ছি আগামীতে আমার খামারের নিরাপদ মাংসের সুনির্দিষ্ট কনজ্যুমার তৈরি হলে ধীরে ধীরে সেই লস পুষিয়ে লাভবান হতে পারবো। আজকে যারা আমাকে ভালোবেসে, আমার উপর বিশ্বাস রেখে এখানে এসেছেন তাদের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রানা পলাশ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপ পরিচালক,গো প্রজনন কেন্দ্রসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।