নয়াকৃষি: বর্ষার পর তিস্তার বুকে জেগে উঠেছে ধু ধু বালুচর। প্রতি বছরের মতো এবারেও কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর বালুচরে আগাম আলু চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন নদী তীরবর্তী শত শত কৃষক। আগাম আলু চাষ করে লাভবান হবেন, এই আশা নিয়ে নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিন-রাত মাঠে পরিশ্রম করে চলেছেন তারা।
সরেজমিনে উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষ শুরু করেছেন।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের পাড়ামৌলা গ্রামের আলু চাষী রফিকুল ইসলাম, হারুর অর রশীদ, শফিকুল ইসলাম, রতি মৌজার রবিউল ইসলাম ও আ. মান্নানসহ কয়েকজন জানান, নদীর পানিতে নেমে আসা পলি মাটি যেখানে জমেছে, সেখানেই আবাদ করেছেন তারা। এবারের বন্যার ভয়াবহতা কম থাকায় ও শেষের দিকে ভারী বর্ষণ না হওয়ায় চরের পানি আগেভাগে মূল নদীতে পড়ে যাওয়ায় আগাম চাষ শুরু করা হয়েছে।এর মধ্যে বেশিরভাগ জমিতে আগাম জাতের আলু লাগানো হয়েছে। এগুলো জমিতে লাগানোর দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যেই বিক্রি করা যাবে।
চাষিরা জানান, মৌসুম শুরুর আগেই সারের যে দাম, তাতে ভরা মৌসুমে সার পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে।
রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সম্পা আকতার জানান, তিস্তার চরগুলোতে পলি জমে থাকার কারণে অনেক উর্বর হয়েছে। এখানে আলুসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি ভালো ফলনের আশা করছি। এ জন্য কৃষকদের বিভিন্ন প্রকারের কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।