নয়াকৃষি ডেস্ক: নওগাঁয় জেলার মাটি শিম চাষের খুব উপযোগী হওয়ায় ফলন বেশি হয়। ফলনের পাশাপাশি বাজারে আগাম শিমের দামও ভালো। তাই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে আগাম জাতের শিম চাষ। দিন দিন আগাম জাতের শিম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা ।
জানা যায়, গত বছর জেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে আগাম বারি শিম-২ চাষ হয়েছিল। এবছর জেলা ১০০ হেক্টর জমিতে শিমের চাষ হচ্ছে। এই শিম চাষে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি হওয়ায় কৃষকের বেশি বেশি কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্তিপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়া বলেন, আমি গত বছর ১০ কাঠা জমিতে শিম চাষ করেছিলাম। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় অনেক লাভবান হতে পেরেছিলাম। তাই এবছর ২ বিঘা জমিতে শিমের চাষ করেছি। গাছে ফুল, ফল দুটোই আসা শুরু করেছে। আগামী ১ সপ্তাহ পর শিম বিক্রি করতে পারবো। আশা করছি গত বছরের মতো এবছর শিম বিক্রি করে অনেক লাভবান হতে পারবো।
মান্দা উপজেলার মৈনম গ্রামের কৃষক মোশাররফ বলেন, আমি আমার জমিতে সারা বছর অনেক ধরনের সবজি চাষ করে থাকি। আগাম জাতের শিম চাষে অনেক ফলন হয়। ফলে অনেক লাভবান হতে পারি। এই শিম গাছে পোকার উপদ্রব বেশি হয়। তাই বারবার কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এবছর কীটনাশকের দাম অনেক বেশি। বারবার দেওয়াতে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর লাভও কমে যাচ্ছে।
মৈনম গ্রামের অন্যান্য কৃষক বলেন, আগাম শিম চাষে অনেক বেশি পরিমানে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এবার কীটনাশকের দাম অনেক বেশি। তাই খরচ বেড়ে গেছে। লাভের পরিমান অনেকটা কমে গেছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. খিজির হোসেন বলেন, লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার হেক্টর থাকলেও তা থেকে বেড়ে ৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে আগাম শিমের আবাদ হয়েছে ১০০ হেক্টরে। দিন দিন আগাম শিম চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। আমরাও কৃষকদের সার্বিক সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছি।