নিজস্ব প্রতিনিধি: পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় এসডিএস বাস্তবারিত PACE প্রকল্পের আওতায় গ্রীষ্মকালীন বারি পেয়াজ-৫ ও নিরাপদ সবজি চাষের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ( ৭ ডিসেম্বর) নিরাপদ পদ্ধতিতে সাধারণ ও উচ্চমূল্যের সবজি চাষের মাধ্যমে কৃষকের আয়বৃদ্ধিকরণ উপ-প্রকল্পের আওতায় শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার চরআত্রায় উক্ত মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার শতাধিক কৃষক অংশ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষক রিটু মুন্সি এর সভাপতিত্বে ও পেইজ প্রকল্পের ভিসিএফ মোঃ আব্দুল মান্নান এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মতলুবর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসডিএস বাস্তবায়িত হারভেস্ট প্লাস প্রকল্পের সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল ও রেইজ প্রকল্পের সমন্বয়ক আবু আসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, নিরাপদ পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ কমে তেমনি অন্যদিকে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির সাথে আয়বৃদ্ধি পায় ও পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই সবজি উৎপাদনে গোবর সার,কেচো সার এবং বায়োপেস্টিসাইডের ব্যবহার করা এখন জরুরি।অত্যধিক মাত্রার রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের পাশাপাশি বৈশ্বিক খাদ্য চাহিদা ও পুষ্টি মোকাবেলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রতি ইঞ্চি জমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে অনাবাদী ও পতিত জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। তাহলে আমদানি নির্ভরতা কমার পাশাপাশি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের সক্ষমতা বজায় রাখা সম্ভব হবে। আপনাদের এখানে অনেক জমি খাওনা আছে এগুলোতে সরিষা চাষ করে সহজেই আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। দেশ ও বিদেশে সরিষা ও সরিষা তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
নিরাপদ সবজি চাষি সেলিম মালত জানান, আগে আমরা সার, বিষ দিয়েই সবজি চাষাবাদ করতাম তখন আমাদের ফসল ফলাতে খরচ বেশি হতো এবং লাভ কম হতো। এসডিএস ভাইয়েরা এসে আমাদেরকে জমিতে কেঁচো সার, তাবিজ (সেক্স ফেরোমন ফাদ), হলুদ কাগজ (হলুদ বোর্ড) ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়। তাঁদের পরামর্শে সবজি চাষ শুরু করি। এতে আমাদের অন্যান্য সার- ওষুধ কম দেয়া লাগছে এবং ফলন বেশ ভালো হয়েছে। গতবারের ন্যায় এ বছরেও আমি স্কোয়াশ চাষ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ্ বেশ ভালো ফলন ও দাম পাচ্ছি। ইতোমধ্যে প্রায় ১২ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছি।
অনুষ্ঠানে ইকোলজিক্যাল ফার্মিং উপ-প্রকল্পের ভিসিএফ শরিফুল আলম মনি, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইমাম হোসেন,পেইজ প্রকল্পের এভিসিএফ সুব্রত মজুমদার, আল-আমিন ইসলামসহ স্থানীয় কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।