নিজস্ব প্রতিনিধি: আধানিবিড় পদ্ধতিতে নিরাপদ মাছ ও চিংড়ি চাষের প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার উপাসিতে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ উদ্বোধন ও সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় আরএমটিপি (ফিশারিজ) প্রকল্পের “নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ” শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের সদস্য মৎস্য খামারী আঃ মান্নান কাজীর পুকুরে মাছের পোনা ছেড়ে উক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পোনা অবমুক্তকরণ শেষে প্রকল্পের আওতায় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এসডিএস’র পরিচালক (এমএফ) ও আরএমটিপি প্রকল্পের ফোকাল পারসন বিএম কামরুল হাসান, প্রকল্পের ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর মোঃ আব্দুল মান্নান, মনিটরিং অফিসার হাসান মাহমুদ, এভিসিএফ নজরুল ইসলাম, ফয়েজুজ্জমান সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে প্রকল্পের ফোকাল পারসন ও এসডিএস’র পরিচালক (এমএফ) বিএম কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাছের চাষ হলেও নিরাপদ পদ্ধতিতে মাছের চাষ খুব কম অঞ্চলেই আছে। নিরাপদ পদ্ধতিতে মাছের চাষ এবং উদ্যোক্তাদের আয়বৃদ্ধির লক্ষ্যে পিকেএসএফ এর সহায়তায় শরীয়তপুর জেলার সদর, নড়িয়া এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলায় আরএমটিপির ফিশারিজ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও একটি সমঝোতা চুক্তি করা হয়। আমরা আশা করছি তিনি নিরাপদ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলার মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
উল্লেখ্য যে, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থা ইফাদ ও ড্যানিডা এর অর্থায়ন এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর কারিগরি সহায়তায় এসডিএস কর্তৃক শরীয়তপুর জেলার সদর, নড়িয়া এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৫০০০ মৎস্য উদোক্তাদের নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৭০ শতাংশ উদোক্তাদের আয় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের সহায়তায় সদর উপজেলার তরুণ মৎস্য খামারী তুহিন চৌকিদারকে মাছের বানিজ্যিক খাবারের বিকল্প হিসেবে কালো সৈনিক পোকা চাষের প্রদর্শনী এবং ৬০ জনকে পুষ্টি, পরিবেশ, জলবায়ু এবং সামাজিক সমস্যা প্রতিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।