কৃষি ডেস্ক: বগুড়ার পল্লী মঙ্গল ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আগাম জাতের শিমের চাষ করা হয়েছে। এবছর আগাম জাতের শিমের বাম্পার ফলন ও বাজারদর ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা। বাজারদর ভালো থাকলে আগামীতে আরো বেশি জমিতে আগাম জাতের শিমের চাষ করবেন বলে জানায় কৃষকরা। শিম শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমানে গ্রীষ্মে শিমের আগাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
ফসলের মাঠ ঘুর দেখা যায়, বগুড়ার শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ, শেরপুর, কাহালু ও গাবতলী উপজেলায় এরই মধ্যে শীতের আগাম জাতের শিমে ভরে উঠেছে মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি শিম গাছ। কৃষকরা গাছ থেকে শিম তুলে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি শিম ৮০-৯০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করতে পারলেও কীটনাশকের দাম অনেক বেশি বলে জানায় কৃষকরা।
কৃষক কু্দ্দুস বলেন, আগাম জাতের শিম চাষ করে আমি লাভবান হয়েছি। এই জাতের শিম গাছ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যায়। ৭০-৮০ হাজার টাকা শিম বিক্রি করতে পারবো। তবে বাজারদর ভালো থাকলে লাখ টাকাও বিক্রি হতে পারে।
নারুয়ামলা গ্রামের আব্বাস মিয়া বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে আগাম শিমের আবাদ করেছি। আমার মতো এই জেলায় অনেক কৃষক আগাম শিমের চাষ করেছেন। বাজারে খুচরা ১১০-১২০ টাকা কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে। আর আমরা পাইকারি ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারছি। এই জাতের শিম ছয় মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। আশা করছি শিম বিক্রি করে লাভবান হবো।
বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দুলাল হোসেন বলেন, এবছর বগুড়া জেলায় ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। আশা করছি এবছর প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আগাম সবজির ফলন পাওয়া যাবে। বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন। আগামীতে আরো বেশি জমিতে আগাম সবজির চাষ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। (আধুনিক কৃষি)