নয়াকৃষি: পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় এসডিএস বাস্তবারিত PACE প্রকল্পের আওতায় গ্রীষ্মকালীন বারি-৫ জাতের পেয়াজ ও নিরাপদ সবজি চাষের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) নিরাপদ পদ্ধতিতে সাধারণ ও উচ্চমূল্যের সবজি চাষের মাধ্যমে কৃষকের আয়বৃদ্ধিকরণ উপ-প্রকল্পের আওতায় শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের চরগয়ঘরে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার শতাধিক কৃষক অংশ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষক নুরুজ্জামান খান এর সভাপতিত্বে ও পেইজ প্রকল্পের ভিসিএফ মোঃ আব্দুল মান্নান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপ-পরিচালক শরীয়তপুর খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মতলুবর রহমান, এসডিএস’র পরিচালক (এমএফ) বিএম কামরুল হাসান বাদল, ইকোলজিক্যাল ফার্মিং উপ-প্রকল্পের ভিসিএফ শরিফুল আলম মনি, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের সাথে খাদ্য গুলো শরীরের জন্য কতটুকু নিরাপদ তা আমাদের ভাবতে হবে। শুধু সবজি বা ফসল উৎপাদন করলেই হবে না। অত্যধিক মাত্রার রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নিরাপদ পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ কমে তেমনি অন্যদিকে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির সাথে আয়বৃদ্ধি পায় ও পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই সবজি উৎপাদনে গোবর সার,কেচো সার এবং বায়োপেস্টিসাইডের ব্যবহার করা এখন জরুরি।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ বাংলাদেশ অর্থকরী ফসল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। প্রতি বছর বাইরের দেশ থেকে শত শত টন পেঁয়াজসহ মসলা জাতীয় ফসল আমাদের আমদানি করতে হয়। কিন্তু আমরা যদি একটু চেষ্টা করি তাহলে আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব।
নিরাপদ সবজি চাষি আলমগীর বেপারী জানান, আগে আমরা সার, বিষ দিয়েই সবজি চাষাবাদ করতাম তখন আমাদের ফসল ফলাতে খরচ বেশি হতো এবং লাভ কম হতো। এসডিএস ভাইয়েরা এসে আমাদেরকে জমিতে কেঁচো সার, তাবিজ (সেক্স ফেরোমন ফাদ), হলুদ কাগজ (হলুদ বোর্ড) ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়। তাঁদের পরামর্শে সবজি চাষ শুরু করি। এতে আমাদের অন্যান্য সার- ওষুধ কম দেয়া লাগছে এবং ফলন বেশ ভালো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পেইজ প্রকল্পের এভিসিএফ খাইবুর রহমান খান, ইকোলজিক্যাল ফার্মিং উপ-প্রকল্পের এভিসিএফ তাওসিফ প্রান্ত, আরএমটিপি প্রকল্পের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার ফরহাদ হোসেন, এসইপি-ইউটিনসিল প্রকল্পের মার্কেটিং অফিসার সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।