নয়াকৃষি: আগাম ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন নীলফামারী জলঢাকার কৃষকেরা। অল্প সময়ের মধ্যে ফসল উঠায় সেই জমিতে আবার আলু চাষ করে বেশি মুনাফা আয়করা যাচ্ছে। তাই এই আগাম ধানের আবাদ বেড়েই চলেছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে, কৃষকরা আষাঢ়ের শুরু বা শেষে হাইব্রিড ধানের চাড়া লাগিয়েছিল সেগুলো এখন ধানে পরিণত হয়েছে। ক্ষেতের ধান কাটাতে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খুটামারা ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, আমি গতবার দুই বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম এবার তিন বিঘা জমিতে লালতীর হাইব্রিড ধান লাগিয়েছি ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। ধানের আটি (কাঁচা খড়) অনেক টাকা বিক্রি করা যায়।
মীরগঞ্জ ইউনিয়নের কালকেট এলাকার কৃষক মান্নান বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, সেচ, সার, কাটা মাড়াই ইত্যাদিসহ খরচ হয় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। আর ধান উৎপাদন হয় বারো থেকে পনের মণ। প্রতি মণ কাঁচা ধান জমিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে। এখন ধান কেটে জমিতে আলু রোপণ করবো। আমাদের এলাকার যাদের জমি আছে তারা সবাই এই আগাম ধান আবাদ করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ জানান, এ অঞ্চলের প্রায় সব উঁচু জমিতে আগাম ধানের চাষ হয়। এদিকে সাধারণত লালতীর, হিরা, ব্রি-ধান ৭১, বিনা ধান ১৬-সহ বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধানের আবাদ হয়। অল্প সময় এ ধানের আবাদ লাভজনক হয়ে উঠেছে। গোটা উপজেলায় ৭ হাজার ৬৪৪ হেক্টর জমিতে আগাম ধানের চাষ হয়েছে যা গতবারের তুলনায় বেশি।
বাংলানিউজ২৪