নিজস্ব প্রতিবেদক: ইনস্টিটিউট অফ বায়ো টেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গাজীপুর এর আয়োজনে ডিএনএর আবিষ্কারের ৭০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনলাইন ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা হতে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত উক্ত ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইবিজিই এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বাংলাদেশ ও বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলামের আমন্ত্রণে আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি প্রোগ্রামের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মুনিমা হক, প্লান্ট ব্রিডার ও বিজ্ঞান লেখক তানভীর হোসাইন। অতিথিবৃন্দ ছাড়াও মুক্ত এই অনলাইন ওয়েবিনারে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীসহ অনেকে যুক্ত হন।
ওয়বিনারের শুরুতে ড. মুনিমা হক, ডিএনএ গবেষণায় নারী বিজ্ঞানীদের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং ন্যানোমেটেরিয়ালস, হেলথ ফিজিক্স, ক্যান্সার বায়োলজি, বায়ো ন্যানোটেকনোলজি, নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন ফিজিক্স, রেডিয়েশন বায়োটেকনোলজি ইত্যাদি বিষয়ের বিভিন্ন অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন।
এরপর ড. তানভীর হোসাইন এর একটি চমৎকার অডিও ক্লিপ শোনানো হয়, যা ডিএনএ এর গঠন ও তথ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেয়। এ সময় তিনি, ভবিষ্যতে হার্ড ড্রাইভের পরিবর্তে ডিনএতে তথ্য সংরক্ষণের সম্ভাবনা ও অগ্রগতি তুলে ধরেন এবং টেকনোলজিকাল সিংগুলারিটির ধারণাও ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. রিয়াজুল ইসলাম, এ্যন্টিবায়োটিক আবিষ্কার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন এবং তাঁর নতুন আবিষ্কৃত হোমিকরসিন এর আবিষ্কার ও কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রফেসর ড. তোফাজ্জল ইসলাম, ডিএনএ গবেষণার আদ্যপান্ত আলোচনা করেন। এরপর তিনি বারোমাসি কাঁঠালের জীবন রহস্য উন্মোচন (জিনোম সিকোয়েন্সিং) এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিভিন্ন গবেষণার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, আমরাই পৃথিবীতে প্রথম বারোমাসি কাঁঠালের একটি জাতের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছি। এই জাতের কাঁঠাল সারা বছর ফল দেয় এবং ফলন মৌসুমি কাঁঠালের চেয়ে চার গুণ বেশি। ফলটির স্বাদ ও পুষ্টিগুণ খুব ভালো। এছাড়া গোল্ডেন রাইস বাজারে আসা এখন সময়ের ব্যাপার।
তিনি ক্রিসপার কাস জিনোম এডিটিং এর সম্ভাবনার ব্যাপারেও আলোচনা করেন এবং জিনোম এডিটিং ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত গমের ব্লাস্ট রোগ নির্ণয়ে তাদের উদ্ভাবিত কিটটি আফ্রিকা এশিয়া এবং বিশ্বব্যাপী প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার কথা উল্লেখ করেন এবং অনুদানকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।
ওয়েবিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মতিউর রহমান খান (ভারত), সহযোগী অধ্যাপক দীপালি রানি গুপ্তা (আইবিজিই) প্রমুখ। এরপর প্রশ্নোত্তর এবং কুইজ সেশনের মাধ্যমে ওয়েবিনারটি শেষ হয়।